এই ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারো না : মো. ইকবাল
প্রকাশিত: ১০:৫৩, ১২ আগস্ট ২০২১
মো. ইকবাল। ছবি- ফেসবুক থেকে নেওয়া
সুনান মুভিজের কর্ণধর মো. ইকবাল হোসেন। যদিও তিনি ঢালিউড কিং শাকিব খানের বন্ধু হিসবেই বেশি পরিচিত। এসকে মুভিজের সঙ্গে যৌথ ভাবে প্রযোজনা করে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক সফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন ঢালিউডে। প্রযোজনার পাশাপশি এবার নাম লেখিয়েছেন পরিচালনায়। তার নতুন চলচ্চিত্র ‘রিভেঞ্জ’ ও ঢালিউডের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বিনোদন এর সঙ্গে।
আপনার সুনান মুভিজ থেকে প্রযোজনার পাশাপাশি প্রথমবারের মত ‘রিভেঞ্জ’ নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন। ‘রিভেঞ্জ’ এর কাজের আগ্রগতি কতদুর?
‘রিভেঞ্জ’ এর কাজ প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। বাকি ২০ ভাগের মধ্যে গানের শুটিং রয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে মোট ৪টি গান থাকবে। দেশের বাইরে বিভিন্ন নজরকারা স্থানে গানগুলোর শুটিং করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু করোনার কারোণে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের মনোরম স্থানগুলো গানগুলোর শুটিং করবো।
আবার করে থেকে ‘রিভেঞ্জ’র শুটিং শুরু হবে?
মহামারী করোনার কারণে অনেকদিন কঠোর বিধিনিষেধ ছিলো। এখন তা উঠে গেলও করোনায় সংক্রমণের হার আশংকাজনক। তাই একটু ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২০/২২ তারিখে শুটিং শুরু করবো।
পরীমণি সহ বেশ কয়েকজন শিল্পীর গ্রেফতারের বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
এটা খুবই দুঃখজনক। যদিও এদের সবাই চলচ্চিত্র শিল্পী নয়। তবে কিছু অভিযোগে পরীমণিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলার পক্ষে আমি নই। তবে এটুকু বলতে পারি যে, শিল্পীরা সমাজ বা দেশের পরিচিত মুখ, তাদেরকে আনেক সতর্ক ও সংযত হয়ে চলতে হয়। এছাড়া একজন চলচ্চিত্র শিল্পীর বিষয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশ হলে তার নেকিবাচক প্রভাব চলচ্চিত্র শিল্পের ওপর পড়ে।
আমাদের ইন্ডাষ্ট্রিতে অনেক জেষ্ঠ তারকা শিল্পী রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে এমন নেতিবাচক অভিযোগ খুব একটা দেখা যায়নি, কিন্তু তরুণ শিল্পীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দেখা যাচ্ছে কেন?
আমাদের জেষ্ঠ তারকা শিল্পীদের সঙ্গে তরুনদের তুলনা একদমই চলে না। তারা তাদের নিজ গুণে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন। একজন রাজ রাজ্জাক, জসিম, সাবানা, ববিতা, সোহেল রানা, আলমগীর, রোজিনা বা কবরী, ওনারা এক দিনে তৈরি হয়নি। ধৈর্য্য, অধ্যবসায় ও অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ব্যাক্তি থেকে শিল্পী হয়েছেন, হয়েছেন কিংবদন্তি। তাদের মধ্যে অর্থের খিদে ছিলো না, ছিলো কাজের খিদে, নিজেকে পরিণত করার খিদে। কিন্তু তরুনদের মধ্যে অর্থের আকাংখা প্রবল। তাই সহজেই তারা লাইনচ্যুত হচ্ছে। তবে তরুনদের অনেকের মধ্যেই কাজের খিদেও আছে। তারা অর্থের থেকে কাজকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
পরীমণি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই সমিতি পরীর দিকে সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে উল্টো সদস্যপদ স্থগিত করে দিলো। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
এ বিষয়ে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা সমিতির গঠনতন্ত্র মেনে কাজটা করেছে। এখানে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইনা। তবে এতটুকু বলবো যে, এই ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারো না।
বঙ্গবাণীডটকম/এমএস