ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১
ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

‘ডাকসেবাকে আধুনিক-জনবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ২৭ মে ২০২১

‘ডাকসেবাকে আধুনিক-জনবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নবনির্মিত ডাক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - পিআইডি

ডাকসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ চলছে। এখন মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের সেবাগুলো পৌঁছে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নবনির্মিত ডাক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাকসেবার মাধ্যমে যাতে আরো বেশি করে মানুষের সেবা দেয়া যায়, সে লক্ষ্যে ডাক বিভাগে ১১৮টি মেইলগাড়ি যুক্ত করেছি। তাছাড়া এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পচনশীল পণ্য পাঠানোর জন্য এরই মধ্যে এয়ারকুলিং সিস্টেম সংযুক্ত গাড়ি কেনার ব্যবস্থা নিয়েছি। ডাকঘরগুলোতে কুলিং সিস্টেম চেম্বার যাতে থাকে সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলা এবং বিভাগীয় শহরে ১৪টি অত্যাধুনিক মেইল প্রসেসিং এবং লজিস্টিক সার্ভিস সেন্টারের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ডাক বিভাগকে বলবো আপনাদের লক্ষ্য থাকবে, একেবারে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত অর্থাৎ ডাকঘর যেখানে যেখানে আছে, সেখানে যেন এ ধরনের ব্যবস্থা থাকে।

সরকারপ্রধান বলেন, ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (Universal Postal Union) রূপরেখার আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি। যেহেতু অনলাইনে কেনাকাটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কাজেই ডাক বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। ডাক বিভাগকে এ বিষয়ে আরো দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাক ভবনে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডাক ভবনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন ১৪ তলা ডাক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটোরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।

১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদফতরের যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবনের তৃতীয় তলায় ডাক অধিদফতরের প্রশাসনিক সদর দফতরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাফতরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। তাই অধিদফতরের সদর দফতর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা হয়েছে।

বঙ্গবাণী/এমএস

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত