ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১
ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

পুলিশকে ঘুষি মেরে হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় আটক ১১

ফরিদপুর প্রতিনিধি বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ২০:২০, ৫ জুন ২০২১

পুলিশকে ঘুষি মেরে হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় আটক ১১

ছবি- বঙ্গবাণী

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার দুই পুলিশকে ঘুষি মেরে হাতকড়াসহ  এক যুবকের পালানোর ঘটনায় পুলিশ শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা জালালউদ্দিনও রয়েছেন।

গত শুক্রবার সন্ধার দিকে  আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িরহাট গ্রামে মো.বরকত হোসেন (২৩) নামের ওই যুবক হাতকড়া অবস্থায় পুলিশকে মেরে পালিয়ে যায়।

বরকত হোসেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ও বেড়ির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুদ্দিন ওরফে মঞ্জু মাস্টারের ছেলে। তার পরিবারের দাবি,বরকত মানসিক রোগী। স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলা হতেই বরকত একটু পাগলাটে ধরনের।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, সেখানে একটি গ্রাম্য সালিশ চলছিল। একপর্যায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আলফাডাঙ্গা থানার পুলিশ মঞ্জুর হোসেন প্রথমে বরকতের হাতে হ্যান্ডকাফ পরান। এসময় বাকবিতন্ডা ও ধস্তাধস্তির সময় বরকত অন্য হাত দিয়ে পুলিশ সদস্য মঞ্জুর হোসেনকে ঘুষি মারেন। এরপর আরেক পুলিশ সদস্য জামালউদ্দিন বরকতের আরেক হাত ধরতে গেলে বরকত তখন হ্যান্ডকাফসহ পুলিশ জামালউদ্দিনকেও ঘুষি মেরে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বেড়িরহাট গ্রামে একটি সালিশে দুই পক্ষের বাদানুবাদ হয়। এ খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরকত হোসেন নামে ওই যুবককে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। তাকে হ্যান্ডকাফও পরানো হয়। তখন বরকতের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফসহ তাকে ছিনিয়ে নেয়।

তিনি জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১১জনকে গ্রেফতার করেছে। বরকতের বাবা মঞ্জুর হোসেন মাস্টারকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

এদিকে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় কর্তব্যকাজে বাধা দেয়ার অপরাধে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। জড়িত অন্যান্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বঙ্গবাণী/এমএস

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত