ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১
ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

ফরিদপুরে চার হাজার বস্তা ডিএপি সার জব্দ, গোডাউন সিলগালা

মেহেদী সোহেল বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ফরিদপুরে চার হাজার বস্তা ডিএপি সার জব্দ, গোডাউন সিলগালা

ছবি-সংগৃহীত

ফরিদপুর শহরের নদী বন্দর সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে চার হাজার বস্তা অবৈধভাবে মজুত করা ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সিঅ্যান্ডবি ঘাট ও ধলার মোড় এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইজাজুল হকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের খবরে পালিয়ে যান গোডাউন মালিক মেসার্স আবু সাঈদ এন্টারপ্রাইজের মালিক আবু সাঈদ পান্নু।

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআই-এর সদস্যদের তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  

অভিযানকালে সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় একটি কার্গোতে থাকা এক হাজার ৬০০ বস্তা ও ধলার মোড় এলাকায় একটি গোডাউনে থাকা দুই হাজার ৪০০ বস্তা অবৈধভাবে মজুত করা ডিএপি সার জব্দ করা হয়। এ সময় কার্গো এবং গোডাউন সিলগালা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইজাজুল হক জানান, গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। অভিযানকালে গোডাউন মালিককে পাওয়া যায়নি। তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

ফরিদপুর নৌ পুলিশের কর্মকর্তা মাসুদুল আহমেদ বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আমরা কার্গোতে খেয়াল রাখছি। অবৈধভাবে যেন কিছু ঢুকতে না পারে এজন্য এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শাহাদুজ্জামান বলেন, মেসার্স আবু সাঈদ এন্টারপ্রাইজ ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের অনুমদিত সার ডিলার, কিন্তু শুক্রবার রাতে জব্দকৃত সার আমাদের (ফরিদপুর কৃষি বিভাগের) বরাদ্দকৃত নয়। এই সার অন্য কোন জেলা থেকে আনা হয়েছে। আর এ কারণে সারগুলোর বিষয়ে তথ্য জানতে গোডাউন মালিক মেসার্স আবু সাঈদ পান্নুর সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হয়। এতে তিনি কোনো সারা না দিয়ে পালিয়ে যান। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইজাজুল হক অভিযান পরিচালনা করে কার্গো এবং গোডাউন সিলগালা করেন। 

ফরিদপুর এখন রবি মৌসুম ( পেয়াঁজ, রসুন ও ভুট্টার রোপন ) শুরু হয়েছে এ কারণে সারের চাহিদা রয়েছে, এমন সময়ে ৪ হাজার বস্তা সার জব্দ করে রাখলে তার নেতিবাচক প্রভাব চাষিদের ওপর পরবে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে মোঃ শাহাদুজ্জামান বলেন, আমাদের সদর উপজেলার চাহিদা অনুযায়ী সার আমরা বরাদ্দ দিয়েছি। যদি কোনো ডিলার আরো বেশি সারের প্রয়োজন মনে করেন তাহলে সে বিষয়ে আমাদের নিয়মিত মিটিংয়ে অবহিত করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে পারি। তবে জব্দকৃতি সারের বিষয়ে রবিবার ১২টার দিকে জেলা সার বীজ কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বঙ্গবাণীডটকম/এমএস

কৃষি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত