বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন
প্রকাশিত: ১৯:২২, ১৭ অক্টোবর ২০২০
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) বিভাগের প্রধান ড. আসিফ মাহমুদ - ফাইল ছবি
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিস্কৃত তিনটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) বিভাগের প্রধান ড. আসিফ মাহমুদ ডেইলি বাংলাদেশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কৃত তিনটি করোনা ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিটেড তালিকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অন্তর্ভুক্ত করে।
টিকাগুলোর নাম হলো- DNA plasmid vaccine, Adenovirus Type 5 Vector এবং D614G variant LNP-encapsulated mRNA। এগুলো তিনটিই প্রি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আছে।
আসিফ জানান, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় মাইলস্টোন। এর দুটি কারণ- প্রথমটি হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তালিকাভুক্ত করলো, দ্বিতীয়টি হলো বাংলাদেশের নাম ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটে আসলো। তাও একবার নয় তিনবার।
এর আগে, সংবাদ সম্মেলন করে গ্লোব জানিয়েছিল, তাদের ভ্যাকসিন প্রাণীদেহে প্রয়োগের প্রথম ধাপে সাফল্য পেয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, তাদের ভ্যাকসিন প্রাণীদেহে দ্বিতীয় দফায় প্রয়োগেও মিলেছে সাফল্য। জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার গবেষণা নিবন্ধ ছাপানোর প্রিপ্রিন্ট সার্ভার ‘বায়ো আর্কাইভে’ তাদের এই সাফল্যের খবর প্রকাশিত হয়েছে বলে জানানো হয়।
গ্লোবের গবেষকরা জানান, তাদের ভ্যাকসিন প্রাণীদেহে অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
গত ১ অক্টোবর ড. আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, তারা তাদের ভ্যাকসিনের নাম দিয়েছেন ‘ব্যানকোভিড’, যা মূলত ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টস এম-আরএনএভিত্তিক ভ্যাকসিন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই ঘরানার মধ্যে ‘ব্যানকোভিড’ই প্রথম ভ্যাকসিন। আর এটিই প্রাণীদেহে দ্বিতীয় ধাপে প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে। কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরি পরিচালিত ‘বায়ো আর্কাইভ’ সার্ভারে তাদের এ সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধ ছাপা হয়েছে।
জানা গেছে, যেকোনো গবেষণার ফল নিবন্ধ আকারে কোনো ‘পিয়ার রিভিউড’ জার্নালে প্রকাশ পেলে তবেই সেটিকে গ্রহণযোগ্য করা হয়। ‘পিয়ার রিভিউড’ জার্নালে কোনো গবেষণা প্রতিবেদন বা নিবন্ধ প্রকাশের আগে জমা দিলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা (রেফারি নামে ডাকা হয়) সেটি পর্যালোচনা করেন। গবেষণার প্রস্তাবনা থেকে শুরু করে গবেষণা পদ্ধতি, ফলাফল বিশ্লেষণের প্রক্রিয়াসহ গবেষণার যেকোনো ধাপ নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন থাকলে তা উত্থাপন করেন তারা। তাদের সেসব প্রশ্নগুলোর মীমাংসা করার পরই কেবল স্বীকৃত ‘পিয়ার রিভিউড’ জার্নালগুলো গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করে থাকে। ফলে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন থাকে না।
বঙ্গবাণী/এমএস
- সারাদেশে সাতদিন লকডাউন
- ইউএনও ওয়াহিদা ওএসডি, স্বামী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব
- গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- টিকা ছাড়া বের হলে শাস্তির খবর ঠিক নয়
- বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ স্ত্রীর ‘নির্যাতনের শিকার’
- মহান বিজয় দিবস আজ
- গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রর বিষয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন
- ২০২১ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
- ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মারা গেছেন
- আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
- পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ লাইনে ত্রুটি
- ১১ দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে অনির্দিষ্টকালের নৌ-ধর্মঘট
- সোমবার থেকে সব গণপরিবহন বন্ধ
- একদিনে ২২ জনের মৃত্যু
- আল্লামা আহমদ শফী মারা গেছেন