ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১
ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

ভবিষ্যত প্রজন্মের বিকাশে বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ১৫ জুন ২০২৩

ভবিষ্যত প্রজন্মের বিকাশে বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রীর

জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি-সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রয়োজন, যাতে তারা ভবিষ্যতে বিশ্বের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংস্থার কাছ থেকে আমরা এটাই আশা করি।

বুধবার সুইস শহর জেনেভায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন থেকে বের হওয়ার পরপরই এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত এবং সুসংহত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী কণ্ঠস্বরগুলোর একটি উচ্চস্তরের ফোরামের এ শীর্ষ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যা অনুভব করি- তা হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সামাজিক ন্যায়বিচার এসডিজির মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডায় কেন্দ্রে রাখা দরকার।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিক, কৃষক, বয়স্ক মানুষ বা বৃদ্ধ মানুষ, ছাত্রছাত্রী এমনকি কর্মজীবী মা বা স্তন্যদানকারী মা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম রয়েছে।

সরকার (বাংলাদেশে) তাদের ভাতা দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বোত্তম উপায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছি। তবে আমি মনে করি এটি ব্যাপকভাবে হওয়া উচিত। আইএলও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারে এবং কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া স্থায়ী শান্তি বা টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না। বিশ্ব পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন প্রযুক্তি আসছে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা প্রয়োজন। প্রত্যেককে অবশ্যই তাদের ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে শিক্ষিত হতে হবে। এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা শিখতে হবে। এ উদ্দেশ্যে তিনি নতুন প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের অগ্রাধিকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। যাতে জনগণ দক্ষ হয়ে উঠেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুলপর্যায় থেকে ডিজিটাল ল্যাবরেটরি এবং কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, তারপর প্রশিক্ষণ এবং ইনকিউবেশন সেন্টার করেছি। যাতে তরুণ প্রজন্ম প্রশিক্ষণ পায় এবং এভাবেই জনগণকে প্রস্তুত করছি।

বঙ্গবাণীডটকম/এমএস

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত