ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

মসজিদ-মন্দিরসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ৯ নভেম্বর ২০২০

মসজিদ-মন্দিরসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

ফাইল ছবি

মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে রোববারেএকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ধর্মীয় উপসনালয়ে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সম্প্রতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে সারাদেশে, বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে শিথিলতা পরিলক্ষিত হওয়ায় করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউকে সামনে রেখে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কর্তৃক কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মসজিদে সব মুসল্লির মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে প্রবেশের জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মসজিদের মাইকে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি এ বিষয়ে মসজিদের ফটকে ব্যানার প্রদর্শন মসজিদ কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে।

এতে বলা হয়, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশের জন্য প্রধান ফটকে ব্যানার প্রদর্শনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপাসানালয় কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে।

এতে আরো বলে হয়, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পোস্টার বা ডিজিটাল ব্যানারের মাধ্যমে প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সকলকে  কিছুক্ষণ পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

দেশের সব মসজিদ ও অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাইকের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ওপরে বর্ণিত ঘোষণা আবশ্যিকভাবে প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বঙ্গবাণী/এমএস

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত