ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১
ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

মিয়ানমারের ৩ যুদ্ধজাহাজ দেখে সেন্টমার্টিনে আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ২০:৩২, ১৪ জুন ২০২৪

মিয়ানমারের ৩ যুদ্ধজাহাজ দেখে সেন্টমার্টিনে আতঙ্ক

ছবি-সংগৃহীত

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর দুপক্ষের মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে কক্সবাজারের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ। জানা গেছে, প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে একই জায়গায় নোঙর করে আছে জাহাজগুলো।

দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নোঙর করা ঐ স্থান থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে ভারী গোলাবারুদ এবং মর্টার শেল ছোঁড়া হচ্ছে। এ কারণে আতঙ্কিত দ্বীপের বাসিন্দারা।

সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে আছে। তবে সেটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে কিনা জানা যায়নি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মো. হাশিম বলেন, এর আগে এত কাছ থেকে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ কখনো দেখা যায়নি। আমাদের জলসীমায় জাহাজগুলো অবস্থান করছে। জাহাজগুলো থেকে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ করা হচ্ছে। এপার থেকে গুলির আওয়াজ শুনো যায়। এ কারণে আমরা অনেক ভয় পাচ্ছি।

সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে দোকানদার রহমত উল্লাহ বলেন, আমাদের দেশকে তারা পরোয়া করে না। আমাদের জলসীমায় মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ চলে এসেছে। মানুষ যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে। গোলাগুলির শব্দ প্রতিদিন শুনতে পাচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই নৌযান চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা করা হোক।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার জয়নাল আবেদীন বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ দেখা যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জলসীমায় অবস্থান করছে কিনা আমরা জানি না। এগুলো নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ড বলতে পারবে। তবে যুদ্ধজাহাজের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

এদিকে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনার পর আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল। সাতদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকল্প পথে চলাচল শুরু করে এসব নৌযান।

মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে টানা সাড়ে তিন মাস ধরে। সম্প্রতি মংডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দুটি শহরসহ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪টি সীমান্তচৌকি, রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এখন মংডু দখলের জন্য লড়ছে তারা। 

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত