ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১
ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

যেভাবে মূল্যায়ন করা হবে ষষ্ঠ থেকে দশম পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১০:০৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

যেভাবে মূল্যায়ন করা হবে ষষ্ঠ থেকে দশম পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের

মূল্যায়নের মাধ্যমে অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে বাতিল হওয়া জেএসসি পরীক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) একটি নির্দেশনা তৈরি করে দেবে। বৃহস্পতিবার ঢাকা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের বৈঠক শেষে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের নির্দেশনা তৈরির মূলনীতি হবে করোনা শুরুর আগে ১৫ মার্চ পর্যন্ত যতটুকু ক্লাস হয়েছিলো সেটি এবং এরপর সংসদ টিভি ও অনলাইনে যতটুকু ক্লাস হয়েছে সেটিকে বিবেচনা নিয়ে। এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাস শুরু করা গেলে সেই ক্লাসগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা। আর না খুললে ১৫ মার্চ পর্যন্ত নেয়া ক্লাস এবং টিভি ও অনলাইনে নেয়া ক্লাসের ভিত্তিতে মূল্যায়নটি হবে।

আগামী ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এই মূল্যায়নটি করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে তখন যদি সশরীরে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটা করা। আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অনলাইনসহ প্রতিষ্ঠানগুলো যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এই মূল্যায়নটি করবে। 

জিয়াউল হক বলেন, এই মূল্যায়নটি পরীক্ষার মাধ্যমে হবে, নাকি অন্য উপায়ে করা হবে সেটি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সুবিধামতো ঠিক করে নেবে। তবে মূল্যায়ন একটি হবেই। 

নবম শ্রেণিতেও অষ্টমের পড়া 

যদি নভেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হলেও পরবর্তী ক্লাসের সিলেবাসের সঙ্গে বাদ পড়া অতি প্রয়োজনীয় নবম শ্রেণির জন্য কিছু বিষয় যুক্ত করা হবে। তবে সেটি বাড়তি চাপ তৈরি করা হবে না বলে জানান তিনি। 

ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন

ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর এবং এনসিটিবি একটা নির্দেশনা দেবে বলে জানান জিয়াউল হক। আর নবম শ্রেণির ক্ষেত্রেও সেভাবে একটা মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, নবম এবং দশম শ্রেণি মিলে একটা সিলেবাস। একটা সিলেবাসের অর্ধেক নবম শ্রেণিতে এবং পরবর্তী অংশ দশম শ্রেণিতে পড়ানো হয়। নবম শ্রেণিতে যা আছে তা দশম শ্রেণিতে পড়ানো হবে। আর দশম শ্রেণিতে যা বাকি আছে সেটি যখন আমরা স্কুল খুলবো তখন শেষ করে দেবো। 

একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে  উত্তীর্ণ করবে বলে জানান তিনি।

এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেই 

তবে এই বৈঠকে আটকে থাকা উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ মহামারির এই সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা কবে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা শিক্ষাবোর্ডগুলোর নেই। এই সিদ্ধান্ত নিবে সরকার। 

বঙ্গবাণী/এমএস

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত