ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

ষড়যন্ত্রের শিকার মাওলানা মাহবুবুর!

ওবায়দুর রহমান, মাগুরা প্রতিনিধি বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ২০ জুন ২০২২

ষড়যন্ত্রের শিকার মাওলানা মাহবুবুর!

মাওলানা মাহবুবুর রহমান

স্থানীয় কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউপির গোপীনাথপুর গ্রামের মোঃ ফজলু মোল্যার পুত্র বিগত ইউপি নির্বাচনে প্রতিদন্দি প্রার্থী মাওলানা মাহবুবুর রহমান। স্থানীয় কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গত ১৫ জুন একটি পত্রিকায় ‘মাগুরায় পাকা ঘর দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। 

এ বিষয়ে মাওলানা.মাহবুবুর রহমান জনান, আমি একটি সংস্থার মাধ্যমে চারশতাধিক পরিবারের কাছ থেকে আবেদন নিয়ে আমার ঐ সংস্থার কাছে পঠিয়েছি,যার অধিকাংশ লোকের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র কোন খরচ নেওয়া হয়নি, হাতেগোনা মুস্টিমেয় যাদের দেওয়ার সমর্থ্য আছে এমন কিছু পরিবারের কাছ থেকে খরচ ব্যবদ সামান্য কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে, সেটা লক্ষ লক্ষ টাকা নয়, আর আমি যদি টাকা আত্মসাৎ করতাম তাহলে বাড়ী থাকতে পারতাম না। প্রকৃত পক্ষে আমি বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি, আগামীতেও নির্বাচন করা ইচ্ছা আছে, আমি ইমামতি করার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ-মাহফিল করে থাকি, আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেছি, আমি জনগণের উপকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজ করে আসছি আমার এই ব্যক্তিগত সুনাম, সুখ্যাতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে অপদস্ত করা ও আমার সুনামকে নষ্ট করার জন্য এবং জনগণের কাছ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারে নেমেছে, যেটা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত, আমাকে পরবর্তী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য তাদের এই অপপ্রয়াস, তাদের এই ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না, সত্যের জয় চিরদিন-ই হয় ইনশাআল্লাহ। 

সরেজমিনে গিয়ে পত্রিকায় নাম আসা অভিযোগকারী আবেদনকারীদের সাথে কথা বলে মহবুবুর রহমানের এই কথার সত্যতা মেলে। অভিযোগকালদের মধ্যে একজন সালিমুল। তিনি বলেন, সাংবাদিক ফোন দেওয়ার আগে ঠিক আছে চাঁপাতলা গ্রামের মুরাদ (গত ইউপি নির্বাচনের সতন্ত্র প্রার্থী) কাকা আমাকে ফোন দিয়ে কয় ঠিক আছে মনি তুই ঘরের জন্য কোন টাকা দিছিলি নাকি? আমি বললাম দিছিলাম,কত টাকা দিছিলি?আমি বললাম পঁচিশশো টাকা, সে বলললো পঁচিশশো টাকার কথা বাদ দে আমি যা বলি এখন থেকে কোউ জানতি চালি তাই কবি, এখন থেকে কবি আমি পঁচিশ হাজার টাকা দিছিলাম, এই কথা বলে রাখার পর ঠিক আছে, মনে করেন ঠিক পাঁচ মিনিট পর এক সাংবাদিক আমারে ফোন দিলো, সে জানতি চাইলো ঘর ব্যবদ আপনি কয় টাকা দিয়েছেন? আমি ঐমনি মুরাদ কাকার শিখানো কথা বলে ফেললাম, এটা আমার ভুল হয়েছে, আরাকজনে শিখানো কথা বলা আমার অন্যায় হয়েছে।

বঙ্গবাণীডটকম/এমএস

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত