ইউপি নির্বাচন
সালথায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত-১
প্রকাশিত: ১৯:২০, ২৩ অক্টোবর ২০২১
ছবি- বঙ্গবাণী
ফরিদপুরের সালথায় ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে মারিজ সিকদার (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এতে উভয় প্রার্থীর আরো অন্তত ২০ সমর্থক আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সংঘর্ষে ভাংচুর করা হয়েছে অন্তত ৫০টি বসতঘর।
শনিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকটি সর্টগানের ফাকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গত ১৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুর বর মোল্যা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগ সমর্থক গ্রাম্য মাতবর মো. রফিক মোল্যা ও নুরজ্জামান টুকু ঠাকুর। রফিক মোল্যা ও টুকু ঠাকুর খারদিয়া এলাকার একই দলের নেতৃত্ব দেন কয়েক বছর। তাদের বাড়িও একই গ্রামে।
গত এক মাস আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে বিরোধ জেরধরে রফিকের কাছ থেকে আলাদা হয়ে টুকু ঠাকুর নৌকার মনোনীত প্রার্থী বর মোল্যা ও তার সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়ার দলে যোগ দেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকার দলের প্রার্থী রব মোল্যার সমর্থক আলমগীর মিয়া ও টুকু ঠাকুরের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকের বিরোধ চলছিল। এরই জেরধরে শনিবার সকাল থেকে খারদিয়া এলাকায় উভয় প্রার্থীর হাজারো সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায় দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সংঘর্ষচলাকালে কয়েকটি বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়।
এতে মারিজ সিকদার, নাসির মোল্যা, রহিম, রশিদ শেখ, সাকির মোল্যা ও টেপু শেখসহ উভয় প্রার্থীর অন্তত ২০ আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে বিকাল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকের সমর্থক মারিজ সিকদার নামে এক যুবক মারা যান। তিনি খারদিয়া গ্রামের সওরাফ সিকদারের ছেলে।
এদিকে মারিজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে যাওয়া পর এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত নৌকার মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের অন্তত ৫০টি বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করার খবর পাওয়া গেছে।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সুমিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রচুর পরিমান শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। তবে কতগুলো শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে তা হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বঙ্গবাণীডটকম/এমএস
- নেশার টাকা দেননি বলে নিজের মাকে গলা কেটে হত্যা
- করোনায় মারা গেলেন ফরিদপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক তারাপদ স্যার
- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক ইলিয়াস আহম্মেদ পাল মারা গেছেন
- সালথা তান্ডবের এক বছর
ওসির বিরুদ্ধে কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ - বেড়িবাধ থেকে অটোচালকের দগ্ধ লাশ উদ্ধার
- ফরিদপুর সদরে ১১ টি ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে
- ধর্ষনে অন্তঃসত্তা কাজের বুয়া, ধরে বিয়ে পড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী
- ফরিদপুরে ছাত্রলীগের শীতবস্ত্র বিতরণ
- এসকাভেটর উল্টে পড়লো বিদ্যুতের খুটির ওপর
- চরভদ্রাসনে নিজ বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
- ফরিদপুর পৌর নির্বাচনে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি নায়াব ইউসুফের
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলো প্রেমিক জুটি
- সমবায় অফিসার বিরাজ কুন্ডের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহনসহ নানান অভিযোগ
- পরকীয়ার টানে ২ সন্তান রেখে পালালেন মহিলা মেম্বার
- সেই বিতর্কিত ওসি আশিকুজ্জামানের বদলি