ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১
ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

আজ পুরাটাই দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি  বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১১:৩২, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

আজ পুরাটাই দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু

পদ্মাসেতু

আজ (বৃহস্পতিবার) পুরোটাই দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর ‘টু-এফ’ স্প্যানটি বসোনো হলেই দৃশ্যমান হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পুরো পদ্মাসেতু। আর শেষ স্প্যানটি বসলেই স্বপ্ন ছোঁবে বাংলাদেশ।

এরই মধ্যে স্প্যানটি মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বুধবার দুপুরে রওনা হয়ে বিকেলে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের।

তিনি বলেন, এবার সেতুর দুই প্রান্তে জোড়া লাগার পালা। আজ সকালের দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে। আর এতেই দৃশ্যমান হবে পুরো পদ্মাসেতু। ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে এক নতুন মাইলফলক রচিত হবে। লেখা হবে নতুন এক ইতিহাস। চ্যালেঞ্জ জয়ের অদম্য স্পৃহাই যে হাতের মুঠোয় সাফল্য এনে দিয়েছে তারও প্রমাণ মিলবে।

পদ্মাসেতুতে এ পর্যন্ত মোট ৪০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। বাকি মাত্র একটি। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মাসেতু। সে হিসেবে ৩ বছর ২ মাস ১০ দিনে বসানো হলো সেতুর সবকটি স্প্যান।

পদ্মাসেতুর সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৮২ শতাংশের বেশি। মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯১ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি ৮৮.৩৮ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩.৩৯ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৭২৩ দশমিক ৬৩ কোট টাকা।

নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭৫.৫০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৫.১৭ শতাংশ। নদীশাসন কাজের চুক্তি মূল্য ৮ হাজার ৭০৭.৮১ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৬৭৪.৪৮ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজের অগ্রগতি শতভাগ।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে স্বপ্নের এ পদ্মাসেতু।

বঙ্গবাণী/এমএস

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত