ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১
ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

এ দেশে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা মেনে নেয়া হবে না: ডিসি অতুল সরকার

ফরিদপুর প্রতিনিধি বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

এ দেশে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা মেনে নেয়া হবে না: ডিসি অতুল সরকার

ছবি-সংগৃহীত

যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। আমরা স্বাধীন দেশ পেতাম না। আর তাকে নিয়ে অবমাননা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার শনিবার সকালে কবি জসীমউদ্দীন হলে এ কথা বলেন।

তিনি সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক প্রতিরোধ সভায় সভাপতির বক্তব্যে আরো বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে দেশে একের পর এক অরাজকতা ব্যস্ত রয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একের পর এক কটুক্তি তে ব্যস্ত রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একদিকে যখন দেশের উন্নয়নে ব্যস্ত অন্যদিকে ঐ সমস্ত লোকজন দেশকে পিছনের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন। 

বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে বলেন, তার জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। আমরা স্বাধীন দেশ পেতাম না। তাকে অসম্মান করা মানে বাংলাদেশকে অসম্মান করা। তিনি হুশিয়ার করে বলেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারীর যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন আমরা সরকারি কর্মচারীরা বসে থাকব না। তাদের ঐকবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদ করব। 

অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মতো ধৃষ্টতা দেখাতে পারে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। তারা বলেন রাতের বেলায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙ্গা কোন বাহাদুরি থাকতে পারে না। আপনারা প্রকাশ্য দিবালোকে তা করে দেখান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সেলিম মিয়া, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হামিদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, স্বাচিপের সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়া, বিএম এর সভাপতি অসম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটু, প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন, সিনিয়র সাংবাদিক পান্না বালা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, প্রফেসর মোঃ সিরাজুল হক, প্রফেসর মোঃ মিজানুর রহমান, একেএম শামসুল আলম, মুজাহিদুর রহমান, বিমল কুমার বিশ্বাস , মনিরুল ইসলাম, নুরমোহাম্মদ কাজল, মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক রিজভী জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাসুম রেজা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর সাথে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।

অনুষ্ঠানের  শেষ পর্বে জাতীয় সংগীত বাজানোর  মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।  এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস সহ বাহিনীর সদস্যরা রেলি   সহযোগে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

বঙ্গবাণী/এমএস

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত