থমথমে ঢাবি, সংঘর্ষ চলছে, দুই জন গুলিবিদ্ধ
প্রকাশিত: ১৯:২৩, ১৫ জুলাই ২০২৪
কার্জন হলের সামনে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
ঢাবি ক্যাম্পাসে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় চলছে ইট-পাটকেল, লাঠিসোঁটাসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। মাথায় হেলমেট ও হাতে লাঠি নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের হটিয়ে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আন্দোলনকারীরা দাবি, ছাত্রলীগের হামলায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাস এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা অভিযান শুরু করেছে।
সর্বশেষ সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালানো চেষ্টা করে ছাত্রলীগ। পরে তারা ঢামেকের জরুরি বিভাগের প্রধান সড়কে কোটা আন্দালনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি করে। এ সময় শহীদুল্লাহ হলের সামনে ও ভেতরে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। কার্জন হলের সামনে দুই জন গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সর্বশেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকেও ক্যাম্পাসের আশপাশে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছিল।
এর আগে কোটা আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য থেকে বিকাল ৩টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হলপাড়ায় গেলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পরে দফায় দফায় প্রায় এক ঘণ্টা চলতে থাকে এই হামলা। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে করতে বিকাল ৪টার দিকে ভিসি চত্বর নিয়ে আসে ছাত্রলীগ। সোয়া ৪টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা একযোগে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিলে তারা দুই ভাগে নীলক্ষেত ও ফুলার রোড হয়ে শহীদ মিনারের দিকে চলে যায়। পরে পুরো ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রেণে চলে আসে। এসময় কোটা আন্দোলনকারীদের পাওয়া মাত্রই লাঠি-সোঁটা দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে ছাত্রলীগের হামলায় অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করাতে যান। বিকাল সোড়া ৫টার দিকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করতে গেলে আনসার সদস্যরা তাদের বাইরে চলে যেতে অনুরোধ করেন। পরে জরুরি বিভাগের সামনের সড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা ইট-পাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে শতাধিক আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। হাসপাতালের সামনে ও ভেতরে অতিরিক্ত আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমশিনার (ডিসি) মোহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখন ব্যস্ত আছি। এভাবে এখন কোনও কথা বলা যাবে না।
বঙ্গবাণীডটকম/এমএস
- শুরু হয়েছে সুহৃদ আমের মেলা!
- ‘মানুষ ফাউন্ডেশন’ এর ইফতার ও ঈদ বস্ত্র বিতরণ
- এতিম এবং দুস্থদের জন্য আইস্টক বিডির ঈদ বাজার
- এই বর্ষায় এলিট লাইফ স্ট্যাইল’র উরাধুরা অফার
- লেবাননের বিষয়ে ইসরাইলকে এরদোগানের হুঁশিয়ারি
- থমথমে ঢাবি, সংঘর্ষ চলছে, দুই জন গুলিবিদ্ধ
- পরাজিত শক্তি এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে : নিতাই রায় চৌধুরী
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনা প্রধান