ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১
ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

নিক্সনের সমর্থনে নৌকার জয়

চরভদ্রাসন(ফরিদপুর)প্রতিনিধি বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ০৯:১১, ১১ অক্টোবর ২০২০

নিক্সনের সমর্থনে নৌকার জয়

ছবি- বঙ্গবাণী

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী। নৌকা প্রতীক নিয়ে পর পর তিনবার পরাজয়ের পর ফরিদপুর- ৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন)এর সমর্থন নিয়ে জয় পেলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃকাউসার। 

এর আগে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরউল্ল্যাহ’র সমর্থন নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন হাফেজ কাউসার। এর পরে ২০১৪ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রচলন হলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি। এই দুই নির্বাচনেও তিনি আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরউল্ল্যাহর সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। 

মোট ২২ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত থাকায় বেসরকারী ভাবে ঘোষিত ২১ টি কেন্দ্রের ফলাফলের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাফেজ মো. কাউসার পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২৮ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুল বারী দিপু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৬ ভোট। 

এর আগে শনিবার সকাল ৯ টা থেকে এই উপনির্বাচনে শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ২২ টি, সিল দেয়া ব্যালট পাওয়া যাওয়ায় ১ টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়। উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৫৬ হাজার ৯৪৩ জন। এই নির্বাচনে মোট ৭জন প্রার্থীর প্রতিদন্দিতা করার কথা থাকলেও দুজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দারান। 

উল্লেখ, গত বছর ২৩ অক্টোবর এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুসার মৃত্যুর কারনে উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শূণ্য হয়ে যায়। গত ২৯ মার্চ এ  উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারনে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। শনিবার ১০ অক্টোবর সেই নির্বাচনের ভোট গ্রহন করে নির্বাচন কমিশন। 

ওই নির্বাচনের আগে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ও নিজের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাউসার হোসেনের নাম ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্ল্যাহ। কিন্তু গত ২৫ সেপ্টেম্বর নৌকা প্রতীকের রেপ্লিকা ও ফুলের তোড়া এমপি নিক্সনের হাতে তুলে দিয়ে নিক্সনের সাথে যোগ দেন কাউসার। 

সে সময় কাউসার বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি, ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন এই তিন উপজেলার মানুষের চোখের মনি এমপি নিক্সন চৌধুরী। আমি ৩ বার পরাজিত হয়েছি, এবার এমপি নিক্সন চৌধুরী সমর্থন না দিলে আবারো পরাজিত হবো, পরাজিত হবে নৌকা। এমপি নিক্সন আওয়ামী পরিবারের সন্তান, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র। তাই আমি তার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়ে তার সমর্থন নিতে এসেছি। এমপি নিক্সন চৌধুরীও তাকে সমর্থন জানিয়ে তার সকল নেতাকর্মীকে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন। 

বিজয়ী হওয়ার পরে হাফেজ মো. কাউসার তৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, এই জয় আমার নয়, এই জয় এমপি নিক্সন চৌধুরীর, এই জয় জননেত্রী শেখ হাসিনার। 

বঙ্গবাণী/এমএস

নির্বাচন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত