‘বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে’
প্রকাশিত: ১৮:০৬, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন-এর দফতর গভর্নমেন্ট হাউজে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন-এর দফতর গভর্নমেন্ট হাউজে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগ এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।
এরআগে, দুই নেতা একান্তে বৈঠক করেন এবং তারপর তারা সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেখানে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়। এসবের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্বারক এবং একটি আগ্রহপত্র রয়েছে।
মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগসহ বহুমুখী সহযোগিতার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে এবং দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে মিথস্ক্রিয়াকে আরো উৎসাহিত করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছি। একইভাবে আমাদের অবশ্যই দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের প্রচার ও সুবিধার্থে আমরা অবশ্যই সব প্রচেষ্টা চালাবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ও ব্যাংকক আজ যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে, তা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো দাঁড় করানোর সুযোগ করে দেবে।
তার সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ সফর ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ, যা দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরো নবায়ন করার একটি চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গতি প্রদান করবে
শেখ হাসিনা বলেন, এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতিকে ধরে রাখতে হবে।
মধ্যাহ্নভোজ সভায় যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে একটি থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। ছোট বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
বঙ্গবাণীডটকম/এমএস
- সারাদেশে সাতদিন লকডাউন
- ইউএনও ওয়াহিদা ওএসডি, স্বামী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব
- গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- টিকা ছাড়া বের হলে শাস্তির খবর ঠিক নয়
- বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ স্ত্রীর ‘নির্যাতনের শিকার’
- মহান বিজয় দিবস আজ
- গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রর বিষয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন
- ২০২১ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
- ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মারা গেছেন
- আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
- পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ লাইনে ত্রুটি
- ১১ দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে অনির্দিষ্টকালের নৌ-ধর্মঘট
- সোমবার থেকে সব গণপরিবহন বন্ধ
- একদিনে ২২ জনের মৃত্যু
- আল্লামা আহমদ শফী মারা গেছেন