বিত্তবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত: ১৮:১৮, ৩১ অক্টোবর ২০২০
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই দেশ থেকে চিরতরে দারিদ্র্য দূর করতে পারে। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালে ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু নিজে ভাল থাকবো, সুন্দর ও আরাম আয়েশে থাকবো। আর আমার দেশের মানুষ, এলাকার মানুষ কষ্টে থাকবে, এটাতো মানবতা না, এটাতো হয় না। কাজেই সবাই মিলে চেষ্টা করলে দেশে আর কোনো দরিদ্র মানুষ থাকবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুব সাহসী। তাদের নিয়ে যুদ্ধ করেই জাতির পিতা দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। কাজেই বিজয়ী জাতি হিসেবেই বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো।
সে সময় বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে পাকিস্তানী বাহিনীর গর্বিত আচরণ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, তারা খুব গর্ব করতো, তাদের আবার কে হারাবে, কিন্তু বাঙালিরা তাদের হারিয়ে যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পেশাজীবী বলেন, ব্যবসায়ী বলেন বা যে যেখানেই আছেন প্রত্যেকের কাছেই আমার অনুরোধ থাকবে, যে যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং যে গ্রামে জন্মেছেন তার উন্নয়নে যেন সহযোগিতা করেন।
করোনার মধ্যে তার সরকারের গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সাহায্য পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, যারা বিত্তশালী তারা নিজ নিজ এলাকার দুস্থদের দিকে যেন ফিরে তাকান। গৃহহীনকে ঘর করে দেন বা তাদের কিছু সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনা গ্রহণের কথা তুলে ধরে বলেন, করোনার কারণে অনেক কাজ থমকে গেছে। তারপরও তৃণমূলের মানুষ যাতে ভালো থাকে সে লক্ষ্যে তাদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মুজিববর্ষে নিজস্ব অর্থায়নে গৃহহীনদের ঘর উপহার জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের প্রতি, ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যে মানুষগুলোর পাশে আপনারা দাঁড়িয়েছেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন, একটা ঘর করে দিয়েছেন, একটা মহৎ কাজ আপনারা করেছেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, ভবিষ্যতে মানুষজন আপনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে এবং মানুষের পাশে দাঁড়াবে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠবে। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষে দেশের সব গৃহহীনকে ঘর করে দেয়ার সরকারের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সচিবদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৮০ জন সচিব নিজ নিজ এলাকায় ১৬০টি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীনদের দিয়েছেন।
বঙ্গবাণী/এমএস
- সারাদেশে সাতদিন লকডাউন
- ইউএনও ওয়াহিদা ওএসডি, স্বামী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব
- গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- টিকা ছাড়া বের হলে শাস্তির খবর ঠিক নয়
- বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ স্ত্রীর ‘নির্যাতনের শিকার’
- মহান বিজয় দিবস আজ
- গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রর বিষয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন
- ২০২১ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
- ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মারা গেছেন
- আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
- পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ লাইনে ত্রুটি
- ১১ দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে অনির্দিষ্টকালের নৌ-ধর্মঘট
- সোমবার থেকে সব গণপরিবহন বন্ধ
- একদিনে ২২ জনের মৃত্যু
- আল্লামা আহমদ শফী মারা গেছেন