রাশিয়ার টিকা করোনা প্রতিরোধ সফল
প্রকাশিত: ১৩:৫১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
রাশিয়ার টিকা গত আগস্ট মাসে অনুমোদনের পর থেকে তা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। দ্রুতগতিতে এ টিকা অনুমোদন দেওয়া নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোয় এর কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এবারে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা তাঁদের করোনাভাইরাসের টিকাটি নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন।
এতে দেখা গেছে, টিকার প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়ার প্রমাণ দেখাতে পেরেছে।
রাশিয়ার গবেষকেরা মেডিকেল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’–এ তাঁদের গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরে তাঁদের টিকা দেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। এ টিকার বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
গত আগস্ট মাসে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য রাশিয়া এ টিকা প্রথম অনুমোদন দেয়। টিকাসংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ না করেই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে টিকার অনুমোদন দিয়ে দেয় রাশিয়া।
এখন টিকার প্রাথমিক গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশের পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা প্রমাণের জন্য যে পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে, তা খুবই ছোট আকারের পরীক্ষা। মস্কো বলছে, তাদের গবেষণার ফল সমালোচকদের জন্য একটা উচিত জবাব।
কিছু পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ রাশিয়ার দ্রুত টিকা অনুমোদনের বিষয়ে উদ্বেগে জানিয়ে বলেন, দেশটির বিশেষজ্ঞরা টিকা পরীক্ষার অনেক দিক উপেক্ষা করছেন।
গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, তাঁদের টিকাটি প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গেছে। তাঁর এক মেয়েও এ টিকা নিয়েছিলেন। পরে ওই মেয়ের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে।
ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিম উপগ্রহের নামে নামকরণ করা স্পুটনিক-৫ নামের টিকাটি নিয়ে জুন ও জুলাই মাসে দুটি পরীক্ষা চালানো হয়। প্রতিটি পরীক্ষায় ৩৮ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে দুই ডোজ করে টিকা ও বুস্টার দেওয়া হয়। প্রথমবার টিকা দেওয়ার তিন সপ্তাহ পর টিকার কার্যক্ষমতা বাড়ানোর বুস্টার প্রয়োগ করা হয়।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাঁদের ৪২ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে সবার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা যায়।
টিকার সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথাব্যথা ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়। এ পরীক্ষা অনেকটাই উন্মুক্ত। এতে দৈবচয়নপদ্ধতি রাখা হয়নি। টিকাগ্রহীতার প্রত্যেকেই টিকা পাওয়ার বিষয়টি আগে থেকে জানতেন। প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে, আরও বড় ও দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা দরকার। এতে প্লেসেবো বা অন্য ওষুধের সঙ্গে টিকার তুলনা করে দেখতে হবে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার বিষয়টি বোঝা যাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টিকা পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে বিভিন্ন বয়স ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ ঠিক করে ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকাটি প্রয়োগ করা হবে।
রাশিয়ার টিকাটি তৈরিতে সাধারণ সর্দি ভাইরাস অ্যাডেনোভাইরাসের বিশেষ প্রজাতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রতিরোধী প্রক্রিয়াকে উদ্দীপ্ত কর
বঙ্গবাণী/এমএস
- গিলবার্ট`স সিন্ড্রোমের জন্ডিস হলো সারা জীবনের জন্ডিস
- চরম অব্যবস্থাপনায় নিদারুণ ভোগান্তি ফরিদপুরের মেডিকেল হাসপাতালে
- ফরিদপুরে তিন হাসপাতালে অভিযান, তিন লক্ষ টাকা জরিমানা
- সারাদেশে ১১ হাজারের বেশি চিকিৎসকের পদ ফাঁকা
- রাশিয়ার টিকা করোনা প্রতিরোধ সফল
- ‘করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে’
- ডায়াবেটিস টাইপ-২ চিকিৎসায় কার্যকর উপায় উদ্ভাবন অস্ট্রেলীয়ার
- দেশের বর্জ্যপানিতেই মিলেছে করোনাভাইরাসের জিন
- বছরের শেষ দিকে আসছে ১০ কোটি ডোজ টিকা
- করোনার অতি উচ্চ ঝুঁকিতে যে ৪০ জেলা
- আগামী তিন মাসে দেড় কোটি করোনা টিকা আনবে সরকার
- দেশে এলো ২০ লাখ ডোজ টিকা
- সিনোফার্ম থেকে সাড়ে সাত কোটি ডোজ টিকা কিনছে সরকার
- এবার ১৮ বছর বয়সীরাও পাবেন টিকা, ৮ আগস্ট থেকে নিবন্ধন
- গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু হবে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে