রোহিঙ্গাদের ফেরাতে জাতিসংঘের বলিষ্ঠ ভূমিকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আবাসস্থল হোটেল লোটে প্যালেস নিউইয়র্ক মিটিং রুমে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি সাক্ষাৎ করেন- পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে এবং এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শরণার্থী বিষয়ক ইউএন হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি এখানে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনজিএ’র ৭৭তম অধিবেশনের সাইডলাইন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রমের ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
গ্রান্ডির সঙ্গে ঐ বৈঠকে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারে ইউএনএইচসিআরের কার্যক্রম জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর জবাবে ফিলিপো বলেন, তিনি দ্রুত মিয়ানমার সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব। ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনারও এ বিষয়ে তার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বৈঠক চলাকালে তারা বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআরের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
পরে একই স্থানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খান কিউসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তারা বাংলাদেশ ও আইসিসি’র মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী আইসিসি’র প্রসিকিউটরকে আশ্বাস দেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ভিকটিমদের জন্য ন্যায় বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইসিসি’র চলমান সকল প্রচেষ্টার ব্যাপারে বাংলাদেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ বৈঠকে খান আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে তার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া জাতিসংঘ হ্যাবিটাটের নির্বাহী পরিচালক মায়মুনা মোহম্মদ শরীফ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এখানে লটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলের কক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তারা টেকসই নগরায়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভবিষ্যত সহযোগিতার গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য তার সরকারের গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সফলতার ব্যাপারে তাকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক গোলাগুলি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলার আঘাত হানাকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে অভিহিত করেন। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে না।
তিনি বলেন, সেই নির্দিষ্ট সীমান্ত এলাকাটি খুব আঁকাবাকা। কখনো কখনো সীমান্ত বোঝা কঠিন। সে কারণে তারা আমাদের সীমান্তের ভিতরে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলা বর্ষণ করছে না, আমাদের সীমান্তের অভ্যন্তরে যে একটি এবং দুটি শেল পড়েছে তা ভুলবশত পড়েছে।
মোমেন আরো বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা সতর্ক থাকবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি।
তিনি বলেন, সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ জানতে চেয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। তাই আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানি না।
বঙ্গবাণীডটকম/এমএস
- সারাদেশে সাতদিন লকডাউন
- ইউএনও ওয়াহিদা ওএসডি, স্বামী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব
- গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- টিকা ছাড়া বের হলে শাস্তির খবর ঠিক নয়
- বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ স্ত্রীর ‘নির্যাতনের শিকার’
- মহান বিজয় দিবস আজ
- গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রর বিষয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন
- ২০২১ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
- ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মারা গেছেন
- আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
- পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ লাইনে ত্রুটি
- ১১ দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে অনির্দিষ্টকালের নৌ-ধর্মঘট
- সোমবার থেকে সব গণপরিবহন বন্ধ
- একদিনে ২২ জনের মৃত্যু
- আল্লামা আহমদ শফী মারা গেছেন