ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১
ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

শুভ `হাফসেঞ্চুরি` স্পিন জাদুকর মোহাম্মদ রফিক

ডেস্ক নিউজ বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১২:২৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

শুভ `হাফসেঞ্চুরি` স্পিন জাদুকর মোহাম্মদ রফিক

মোহাম্মদ রফিক

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন তারকার ছড়াছড়ি। কোনো সিরিজের আগে প্রতিপক্ষ সাকিব-তামিম-মুশফিক-মুস্তাফিজদের নিয়ে হিসাব কষতে বসে। কিন্তু একটা সময় ছিল, বাংলাদেশের ক্রিকেট মানেই ছিল মোহাম্মদ রফিক। এই ঘূর্ণি জাদুকর ছিলেন প্রতিপক্ষের ত্রাস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের পর বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, এই মানুষটিই তার অনুপ্রেরণা। সেই মোহাম্মদ রফিকের আজ ৫০তম জন্মদিন।

১৯৯৫ সালে ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় রফিকের। এরপর থেকেই অবসর পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের নির্ভরতা হয়ে ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। ২৫ বছর বয়সে ক্রিকেটে অভিষেকের পরই নিজেকে প্রমাণ করেন। অভিষেক ওয়ানডেতে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিল 'দ্য ওয়াল' খ্যাত রাহুল দ্রাবিড়ের উইকেট। ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। পরের ইনিংসে মাত্র ২ ওভার বল করার সুযোগ পেয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।

৩৩ টেস্টের ৪৮ ইনিংসে তার উইকেটসংখ্যা ১০০। ১২৫ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১২৪ উইকেট। আজ সাকিব-মাশরাফিরা যেমন একের পর এক উইকেট তুলে নেন; বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রার সূচনালগ্নে রফিকই ছিলেন বড় তারকা। অল-রাউন্ডার হলেও তার পরিচিতি ছিল স্পিনার হিসেবে। টেস্টে ১টি সেঞ্চুরিও আছে তার। রফিককে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে হয়তো ওই সময়েই একজন তারকা অল-রাউন্ডার পেত বাংলাদেশ।

২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর নিজেকে গুটিয়ে নেন রফিক। ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে গিয়ে ব্যবসার কাজে মনযোগ দেন। এমন একজন তারকাকে কেউ ডাকার প্রয়োজনও মনে করেনি। অবশেষে অনেকদিন পর বিসিবির হাই পারফর্মেন্স (এইচপি) ইউনিটের স্পিন কোচ হিসেবে ডাক পড়ে। ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণে কলকাতায় গিয়ে তার ক্রিকেট একাডেমিতেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন একাধিকবার। সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে কলকাতায় থেকে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু দেশের টানে ফিরে আসেন বাংলাদেশের এই ঘূর্ণি জাদুকর।

বঙ্গবাণী/এমএস

খেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত