ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১
ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

শেখ হাসিনার বেয়াই মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার বেয়াই মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন

ফরিদপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ভাই সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ফরিদপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১নং আমলী আদালতের বিচারক মো. নাসিম মাহমুদের আদালতে নালিশী অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। 

অভিযোগটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন আদালত। অভিযোগটি দায়ের করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো.  দেলদার হোসেন সবুজ। এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ নেতাকর্মীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল। এসময় তৎকালীন এমপি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ভাই তৎকালীন উপজেলা চয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের নির্দেশে পৌর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করা হয় জুলফিকার হোসেন জুয়েল, দিলদার হোসেন সবুজসহ বেশ কয়েকজনকে। আহতরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে সেখানেও হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতারা। পরে আহতরা বাসায় এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। 

বাদীর আইনজীবী মো. হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘আদালতকে আমরা জানিয়েছি, ওই সময়ে আমরা থানা ও আদালতে মামলা দায়েরের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কেউই আমাদের মামলা গ্রহণ করেনি। আজ দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে বিধায় আমরা ন্যায় বিচারের আসায় আদালতে হাজির হয়েছি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে আমাদের অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কোতয়ালী থানা পুলিশকে।’ 

ওই সময়ে হামলায় আহত বর্তমান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, ‘আমি যে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, কথা বলছি তা আমার অতিরিক্ত হায়াতটুকুর জন্য। ওই দিন আমাকে মেরে ফেলার জন্যই আমার উপর হামলা করা হয়েছিল। কুপিয়ে আহত করার পরে আমি যে চিকিৎসা নিব, সেই সুযোগও আমাকে দেয়নি, হাসপাতালে গিয়ে আবার হামলা করেছে। আমি পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। আমি আশাবাদী দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আদালতের কাছে আমি ন্যায় বিচার পাবো। 

উল্লেখ, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের শশুর।

বঙ্গবাণীডটকম/এমএস

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত