ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১
ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

সরকারি ঘর নির্মাণে ইউএনও দম্পতির কাণ্ড: দুর্নীতির যেন শেষ নেই!

নুরুল ইসলাম, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ১৫ মে ২০২২

সরকারি ঘর নির্মাণে ইউএনও দম্পতির কাণ্ড: দুর্নীতির যেন শেষ নেই!

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের (নির্মাণাধীন) ঘর

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মানহীন ইট, খোয়া, রড, সিমেন্ট ও বালু দিয়ে চলছে ঘর নির্মাণের কাজ। ঘরের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রশাসনের জব্দ করা সরকারি গাছের নিম্নমানের কাঠ। আবার অনেক স্থানে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে। যা বসবাসে অযোগ্য বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের।

বিনাপারিশ্রমিকে উপকারভোগীদের দিয়ে ঘরের ফ্লোর ভরাটসহ লেবারের কাজ করানো হচ্ছে। এমনকি সরকারি কর্মচারীদের ঘরের কাজে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করছেন। যেকারণে তারা ঠিকমত অফিসের কাজ করতে পারছেন না। সাধারণ অসহায় মানুষের নিজস্ব টাকায় মাটি ভরাটকৃত দখল করা খাস জায়গা উদ্ধারে হিংসাত্মক উদ্যোগ ও চরম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। খাস জমি খালি করার নামে শতশত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। 

গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাছলিমা আক্তার তার স্বামী মো. শাহেদ চৌধুরীকে অঘোষিতভাবে ঠিকাদার নিয়োগ করে এসব ঘর নির্মাণে যা খুশি তাই করে রীতিমত নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 

নিয়মনীতি আর শৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে একের পর এক ঘর তৈরী করে গেলেও যেন দেখার কেউ নেই। এতে ইতিমধ্যে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে উপকারভোগীসহ সাধারণ মানুষ। ঘর নির্মাণ নিয়ে ইউএনওর এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে স্টাটাস ও মন্তব্য করতে দেখা গেছে অনেককেই।

জানা গেছে, সালথায় তৃতীয় ধাপে মোট ২৩৩টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার মাঝারদিয়া ৯৩টি, গট্টি ৪৭টি, ভাওয়াল ৩২টি, যদুনন্দী ২৮টি, সোনাপুর ২১টি, রামকান্তুপুর ৮টি ও আটঘর ইউনিয়নে ৪টি ঘর রবাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫'শ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩৫ টি ঘরের কাজ শেষ করে উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে। হস্তান্তরকৃত এসব গৃহ নির্মাণেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।

জানা যায়, চলমান গৃহনির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে;  আর সেক্রেটারী করা হয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে। সদস্য করা হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা প্রকৌশলীসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের। অভিযোগ রয়েছে এসব সরকারি কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নাম মাত্র গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটিতে রাখা হয়েছে। ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের কোন পরামর্শও নেয়া হচ্ছে না। ইউএনও তার স্বামীকে দিয়ে সব কাজ করছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করে জানান, ইউএনও সালথায় যোগদানের পর থেকেই তার স্বামী মো. শাহেদ চৌধুরীকে নিয়ে আসেন। শাহেদ বেকার হওয়ায় তাকে ঘর নিমার্ণের সকল দায়িত্ব দিয়ে কাজে লাগিয়ে দেন ইউএনও। এরপর ইউএনওর গাড়ি নিয়ে শাহেদ নিয়মিত ঘরের কাজ দেখাশোনা শুরু করেন। একপর্যায় স্বামীর পরামর্শে ঘর নির্মাণে শুরু করেন নানা অনিয়ম। 

বেশিরভাগ ঘরেই নিম্নমানের ইট, খোয়া, বালু, রড, সিমেন্ট ও কাঠ দিয়ে কাজ শুরু করেন। ঘর নির্মাণে এতটাই নিম্নমানের সামগ্রী আনা হয় যা কাজ বন্ধ করে দিয়ে মাঝে মাঝে মালামাল ফেরত দেওয়া হয়। এক গাড়ি ভাল মানের ইট-খোয়া আনলে, তিন গাড়ি মানহীন ইট-খোয়া এনে কাজ করছে। যেসব ঘর সড়কের পাঁশে বা সদরে সেসব ঘরে ভাল মানের ইট ব্যবহার করলেও গ্রামের ভিতরের ঘরগুলোতে বেশিরভাগ পঁচা ইট-খোয়া ব্যবহার করছে।  

তারা জানান, সাবেক ইউএনও'র জব্দকৃত বন’বিভাগের যেসব গাছ উপজেলা চত্বরে রাখা ছিল। সেই সব গাছগুলো বন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়াই ঘরের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়াও কাগদী এলাকার রাস্তার পাঁশে থাকা বেশ কিছু মেহেগুনি গাছ কেটে ঘরের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্নস্থানে পরিকল্পনা ছাড়া ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। হাঁটাচলা করার মত জায়গা ছাড়া ঘরের আঁশপাশে কোন জায়গা খালি রাখা হয়নি। যেখানে শাকসবজি চাষ করে উপকাভোগীরা খাবে, সেই জায়গা পর্যন্ত রাখা হয়নি। ফলে এসব ঘরে বসবাস করতে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেছেন। 

গাছ সংক্রান্ত ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. তুরাপ হোসেন বলেন, উপজেলা চত্বরে যে গাছ রাখা ছিল তা ওয়ার্কশনে (নিলামে) বিক্রয় করেন আগের ইউএনও হাসিব সরকার। তবে, শুনেছি মাঝারদিয়া ও সোনাপুর এলাকায় কিছু গাছ কেটেছেন বর্তমান ইউএনও তাছলিমা আক্তার। তবে, সে গাছ তিনি কি করেছেন তা আমার জানা নেই। তবে, ইউএন তাছলিমা স্যার যে গাছ কেটেছেন তা বনবিভাগের আওতাধীন নয়। সেগুলো খাস খতিয়ানের জায়গার ; তাই হয়তো সে আমাদের জানাননি।

তারা আরও জানান, বিনা পয়সায় উপকারভোগীদের দিয়ে ঘরের ফ্লোর ভরাটসহ লেবারের কাজ করানো হয়। নাটর ও পাবনা থেকে শ্রমিক ও মিস্ত্রি এনে ঘরের কাজ করছেন। এতে এই এলাকার শ্রমিক ও মিস্ত্রীদের হক নষ্ট হচ্ছে। এমনকি উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী দিয়ে শ্রমিকের কাজ করছেন। তাদের দিয়ে নির্মাণাধীন ঘরের দেয়ালে পানি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। ফলে তারা অফিসের কাজ ঠিকমত করতে পারছেন না। আর এসবই করছেন ঘরের কাজ থেকে টাকা বাঁচাতে। ইউএনও ও তার স্বামীর টার্গেট প্রতিটি ঘরে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা বাঁচিয়ে কোটি টাকা বাণিজ্য করার।

একাধিক উপকারভোগী অভিযোগ করে বলেন, ঘর নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয় ইউএনওকে জানানো হলেও কোন লাভ হয় না। মাঝে মাঝে খারাপ ইট-খোয়া ফেরত দিলেও আবার যা আনে তা সেই আগের মতই। তাই মুখ খুলে বেশি কথাও কই না। বেশি অভিযোগ দিলে যদি ঘরের তালিকা আমাদের নাম কেটে দেয়, এই জন্য চুপ থাকি।

ঘরের কাজে কর্মরত মিস্ত্রিরা বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলেও আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের যেসব মালামাল এনে দিবে আমরা তাই দিয়ে কাজ করবো। এর বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

উপজেলা ও ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, ঘর নির্মাণে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তা দিয়ে সম্পন্ন কাজ করা সম্ভব। তারপরেও আমাদের ঘরের কাজে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অফিসের কাজ রেখে প্রতিদিন আমাদের ঘর নির্মাণের কাজে সহযোগিতা করা লাগে। এমনকি ঘরের দেয়ালেও পানি দিয়ে ভেজাতে হয় আমাদের। এতে আমরা অফিসের কাজ ঠিকমত করতে পারছি না। ইউএনওর স্বামী আমাদের যেভাবে চালাচ্ছে, আমরা সেই ভাবে চলছি। মনে হয়’ সে-ই যেন ইউএনও।    

এব্যাপারে গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সেক্রেটারী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিতষ বাড়াই বলেন, উপজেলার জয়ঝাপ এলাকায় গৃহ নির্মাণ কাজে কিছু নিম্নমানের সামগ্রী আনা হয়েছিল। উপকারভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেগুলো ফেরত পাঠানো হয়। এ ছাড়া আর কোনো অনিয়মের বিষয় আমি অবগত নই। 

গৃহবাস্তবায়ন কমিটির অন্য সদস্য উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গৃহ নির্মাণ কাজে আমাদের সেইভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি, এটা আপনারা জানেন। আমি একদিন ইউএনও ও পিআইও'র (প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) সাথে উপজেলার জয়ঝাপ গিয়েছিলাম। সেখানে নিম্নমানের খোয়া পাওয়া গেলে তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়। গৃহনির্মাণ কাজে বিভিন্নস্থানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে কি না- এটা আমার চেয়ে আপনারা ভাল জানেন। আমি এ বিষয় আর কিছু বলতে চাই না। 

খাস জমি উদ্ধারে ইউএনওর হিংসাত্মক উদ্যোগ ও স্বেচ্ছাচারিতা: 

সরেজমিনে গেলে স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ জানান, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রচুর পরিমাণ অব্যবহৃত জমি থাকার পরেও লক্ষণদিয়া গ্রামে এজাজ আহমেদ নামে তরুণ এক উদ্যোক্তার একটি গরুর ফার্ম ভেঙ্গে সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। ফার্মটি ভেঙ্গে ফেলায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিসহ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় ওই তরুণ উদ্যোগক্তার স্বপ্ন। 

মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি এলাকায় কুমার নদের পাড়ের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, আমার বাড়ির পাঁশে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০ শতাংশ নিচু জমি ৩০ হাজার টাকার মাটি কেটে ভরাট করে সেখানে গাছ লাগাই। আমার মত স্থানীয় বাসিন্দা সাদিমান মোল্যা ৪০, মাওলানা সামাদ ৩০, আকরাম আলী ৪০, ফারুক মাতুব্বর ৩০, দুলাল মাতুব্বর ৩০, শাহিদ শেখ ২০, আব্দুর রহমান ১৫, মুরাদ মোল্যা ২৫ ও রনি শেখ ২৫ শতাংশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিচু জমি দখলে নিয়ে অন্তত ১০ লাখ টাকার বালু-মাটি দিয়ে ভরাট করে সেখানে গাছ লাগান। গাছগুলো অনেক বড় হয়ে উঠে। এরই মধ্যে রিজিউম না করে জনসাধারণের দখলে থাকা এসব জমি উদ্ধারে নামেন ইউএনও। 

বিষয়টি নিয়ে তখন এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তারপরেও এসব জমিতে থাকা মেহেগুনিসহ প্রায় ৩ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়ে জায়গা খালি করে সেখানে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। অথচ কুমারপট্টিতে অনেক অব্যবহৃত খাস জমি রয়েছে। কারণ হিসেবে জানা যায়, কুমাপট্টি যেসব খাস জমি রয়েছে সেগুলো অনেক নিচু। তাই জনসাধারণের নিজস্ব টাকায় ভরাটকৃত উচু জমিগুলো উদ্ধার করে ঘর নির্মাণ করছেন ইউএনও। 

অন্যদিকে, উপজেলা ফুকরা বিদ্যুৎ অফিসের সামনে নিচু জায়গা মাটি ভরাট করে গৃহ নির্মাণ করার কথা। এই জন্য আলাদা বরাদ্দও দেয়া হয়েছে। অথচ সেই নিচু জায়গাতেই গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। জানালা-দরজা পাতলা লোহা দিয়ে করা হচ্ছে। শিডিউলে মোটা লোহা ধরা। ২ শতক জায়গাসহ ঘর দেয়ার কথা থাকলেও এক শতক জায়গা ঘর তোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০টি ঘরের কাজ শেষ হয়েছে। অথচ ২৬ এপ্রিল ১৩৫ টি ঘরের কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে হস্তান্তর করেছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন জনসাধারণের উপকারের জন্য, অসহায় মানুষের মাথাগুঁজার ঠাই করে দেওয়ার জন্য। সরকার তো বলে নাই যে, একজনের ক্ষতি করে আরেকজনের উপকার করতে। সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয় এমন স্থান বাছাই করে গৃহনির্মাণ করায় এলাকাবাসী হতাশ ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অনিয়মের মাধ্যমে তৈরী এসব ঘর কতখানি স্থায়ী হবে তা নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে বরাদ্দ কম দিলেও তৃতীয় ধাপে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছেন। যা দিয়ে ভাল মানের কাজ করা সম্ভব। কিন্তু ঘর নির্মাণ কাজের দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তারা নিম্নমানের সামগ্রী কিনে অর্থ বাঁচিয়ে পকেটভারি পায়তারা করার ফলে ঘরগুলো কতটুকু টিকসই হবে তা নিয়ে নানা ধরণের কথা রয়েছে।

অভিযুক্ত ইউএনও'র স্বামী মো. শাহেদ চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঘর নির্মাণের অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গৃহনির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাছলিমা আক্তারের মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

তবে, এ ইউএনও কিছুদিন আগে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, সরকারি কাজে সরকারি গাছের কাঠ ব্যবহার করা যাবে। এতে কোন সমস্যা নেই। কুমারপট্টিতে ঘর নির্মাণের জায়গা উদ্ধারের সময় স্থানীদের সাথে কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল ; পরে সেটা তাদের সাথে মিমাংসা হয়ে গেছে। তবে ঘর নির্মাণে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। আমি শতভাগ ভাল কাজ করবো।

এব্যাপারে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, গৃহনির্মাণের বিষয় অনিয়ম হলে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখছি। অনিয়মের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বঙ্গবাণীডটকম/এনআই/এমএস

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত