সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়: মেঘনা আলম
প্রকাশিত: ১৫:২৯, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

মডেল মেঘনা আলম
বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শুনানিতে বলেন, ‘এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এবং তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
এসময় মেঘনা আলমকে মেঘলা আলম সম্বোধন করে শুনানি করার এক পর্যায়ে আসামি মেঘনা তার নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করার জন্য বলেন, আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।
এরপর বিচারক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আছেন কিনা জানতে চান। মেঘনা আলম আদালতকে বলেন, ‘আমাদের কোনো আইনজীবী নেই। এরপর তিনি কথা বলতে অনুমতি চান।
আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, আমার নাম মেঘনা, মেঘলা নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন?
এ পর্যায়ে বিচারক তাকে থামিয়ে মামলা সম্পর্কে কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান। এরপর মেঘনা বলেন, আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। বিষয়টি হলো রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য না। এ বিষয়ে আমি ঈসার সঙ্গে কথা বলি। তাকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলি। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সঙ্গে কথা বলি। এরপরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।’
এদিকে মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমির আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।’
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখান। একইসঙ্গে দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘একমাত্র ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাতে মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অপরাধে জড়ালে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাকে কেন ডিটেনশন আইনে গ্রেপ্তার করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে নেটিজেনরা।
এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধানের পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়।#
- ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পেলেন নিক্সন চৌধুরী
- প্রকাশ হলো ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের গেজেট
- ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক
- এসিআইকে কোটি টাকা জরিমানা, দুই দিনে পণ্য সরিয়ে ফেলারও নির্দেশ
- নিক্সনের বিরুদ্ধে মামলা
- শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- হাইকোর্টে নিক্সন চৌধুরী
- মানবতাবিরোধী অপরাধ
কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেছে - ‘ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক কেন অবৈধ নয়’
- গাড়ি চালকের ২৪টি ফ্ল্যাট, ৩টি বাড়ি
- ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা, পিবিআইকে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
- রিফাত হত্যা মামলায় আরো ৬ জনের কারাদন্ড
- পাপিয়া দম্পতির ২৭ বছরের কারাদণ্ড
- স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেই গাড়িচালক র্যাবের হাতে আটক
- ৩২ বছরের মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ