ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ভাদ্র ২৪ ১৪৩১
ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪       
Shruhid Tea

হারিকেন বেরিলের আঘাতে লন্ডভন্ড পুরো দ্বীপ, ৭ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৩ জুলাই ২০২৪

হারিকেন বেরিলের আঘাতে লন্ডভন্ড পুরো দ্বীপ, ৭ জনের মৃত্যু

ছবি সংগৃহীত

সম্পুর্ন বিধ্বস্ত হয়ে গেছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দ্বীপ ইউনিয়ন আইল্যান্ড। অতি বিপজ্জনক সামুদ্রিক ঝড় হারিকেন বেরিলের আঘাতে দ্বীপটিতে আর কোনো বাড়িই অক্ষত নেই। এতে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডিনসের পাশে অবস্থিত এই দ্বীপে বাসিন্দা ক্যাটরিনা কোই এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেরিল অতিক্রম হওয়ার পর ইউনিয়ন দ্বীপ খারাপ অবস্থায় রয়েছে। কার্যত পুরো দ্বীপের সব বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। কোনো বাড়ি আর অক্ষত নেই। ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটিগুলো মাটিতে পড়ে আছে। সবকিছু হারিয়ে গেছে। আমার এখন থাকার মতো কোনো জায়গা নেই।

১৯৮৫ সাল থেকে এই দ্বীপটিতে বসবাস করছেন ক্যাটরিনা। ২০০৪ সালে হারিকেন ইভান নামের আরেকটি ভয়াবহ ঝড়ের মধ্যে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু হারিকেন বেরিলের মাত্রা আগের ঝড় থেকে অন্যরকম ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

ক্যাটরিনা বলেন, এখান দিয়ে যেন একটি টর্নেডো অতিক্রম করেছে। দ্বীপের ৯০ শতাংশ অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমি আমার স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সত্যি বলতে, আমি নিশ্চিত ছিলাম না এই রাতে বাঁচবো।

ক্যাটরিনার চাচাতো বোন ও হোটেল ব্যবসায়ী আলজি জানিয়েছেন, হারিকেনটি আঘাত হানার সময় ঘরের দরজা ও জানালাগুলোর সামনে ফার্নিচার রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। যেন তীব্র ঝড়ো বাতাসে এগুলো উড়ে না যায়।

তিনি বলেন, চাপ অনেক শক্তিশালী ছিল যে এটি আমরা কানেও অনুভব করছিলাম। আমরা নিজ কানে শুনতে পারছিলাম এক বাড়ির ছাদ উড়ে এসে আরেক বাড়ির ছাদে পড়ছে, জানালা ভাঙছে, পানি ঢুকছে। কেউ বুঝতে পারেনি ঝড়টি এতটা খারাপ হবে। সবাই বেশ ভীত হয়ে পড়েছেন।

এই নারী জানিয়েছেন, এখন দ্বীপের সব বাসিন্দাদের লক্ষ্য হলো থাকার একটা জায়গা তৈরি করা। এজন্য অনেকে ভাঙা কাঠ দিয়ে অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি করছেন। এছাড়া খাবার ও সুপেয় পানি যোগার করাটাও তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে।

হারিকেন বেরিল শক্তি ধরে রেখে এখন জ্যামাইকার দিকে এগিয়েছে। এটা সেখানে পূর্ণশক্তি নিয়ে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বঙ্গবাণীডটকম /এমএস

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত